আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ। দেশব্যাপী দ্বিতীয়বারের মতো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮’ চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সেবাসপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, প্রাণিজ পুষ্টি সরবরাহ ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর পশুপাখি পালনের বিভিন্ন কর্মকা-ে, বিশেষ করে গাভী পালন, গরুর হৃষ্টপুষ্টকরণ, ছাগল ও ভেড়াপালন, হাঁসমুরগি পালন ও খামার স্থাপন, রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বৈতপ্রভাবের ফলে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির উৎপাদনশীলতা ও নিবিড়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গত ৫ বছরে দুধ ৩৪.৬০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ৯২.৮৩ লাখ মেট্রিক টনে, মাংস ২৩.৩০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ৭১.৫৪ লাখ মেট্রিক টনে এবং ডিমের উৎপাদন ৭৩০.৩৮ কোটি থেকে ১৪৯৩.৩১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। জনপ্রতি দৈনিক দুধ, মাংস, ডিম গ্রহণের পরিমাণ ২ থেকে ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত থেকে হিমায়িত গরুর মাংস-আমদানির বিরোধিতা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে মাংসের চাহিদার চেয়েও বর্তমানে উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আইনের ফাঁক-গলিয়ে আসা হিমায়িত মাংসের আমদানি বন্ধের চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও ১০০০ কেজি ওজন সম্বলিত আমেরিকান সংকরায়নকৃত ব্রাহমাজাতের গরু পালন করায় আগামীতে মাংসের দামও ধীরে ধীরে কমবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বর্ণাঢ্য র্যালী, সভা ও সেমিনার, প্রাণিসম্পদ বিষয়ক মেলা, প্রজেনী প্রদর্শনী, প্রাণিসম্পদ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা ও স্কুল ফিডিং। এছাড়াও দেশব্যাপী সকল জেলা ও উপজেলা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- র্যালি ও আলোচনা সভা, প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সেবা ক্যাম্প (চিকিৎসা, টিকাপ্রদান), স্কুল ফিডিং, প্রাণিসম্পদ উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে মেলা, প্রদর্শনী, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, খামারী সমাবেশ ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আইনুল হকসহ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস।