• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

মাছের তেলের উপকারিতা

আপডেটঃ : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৮

বাঙালিকে বলা হয় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। তাই আমাদের দেশের খাদ্য তালিকার একটি বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে নানা ধরনের দেশি মাছের সমাহার। নদী মাতৃক দেশ হওয়ায় মিঠা পানির মাছের প্রচলন এখানে বেশি।
মাছের ক্যালরি নির্ভর করে তার চর্বি ও মাত্রার উপর। এই মাত্রা আবার ঋতু বিশেষে কমবেশি হয়ে থাকে। মাছের ডিম পাড়ার সময় হলে মাছের তেল বাড়ে, তখন ক্যালরিও বেড়ে যায়। মাছে উচ্চ জৈবমূল্যের প্রোটিন রয়েছে শতকরা ১৬-২০ ভাগ। মাছকে সম্পূর্ণ প্রোটিন বলা হয়। আবার মাছের চর্বি অসম্পৃক্ত চর্বি যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়া মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা রক্তের কোলেস্টেরলকে রক্তনালীতে জমতে দেয় না।
মাছের তেলে ভিটামিন এ ও ডি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ঘাটতিতে ছোট মাছ কাঁটাসহ চিবিয়ে খেলে ভালো। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে রয়েছে আয়োডিন যা থাইরয়েডর রোগীদের জন্য উপকারী।
মাছের তেলের উপকারিতা নিয়ে আজ সারা বিশ্ব সোচ্চার। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে- প্রদাহ জনিত অসুবিধা, চর্মরোগ, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস, হার্ট ডিজিস এবং কোন কোন ক্যান্সারে এর ফল চমৎকার। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২৫ গ্রাম করে মাছ খাওয়া উচিত। মাছের তেল প্রোস্টাগ্লাভিন নামে একটি রাসায়নিক গঠনে বাধা দেয় যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া মাছ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ