ঢাকা:
সকালের নাস্তায় রুটি অনেকেরই পছন্দ। ডায়েট করতে অনেকে আবার রাতেও রুটি খান। তাই খাদ্য তালিকায় ভাতের পরেই অনেকে রুটিকে স্থান দিয়েছেন।
তবে সমস্যা হলো রুটি বানানো নিয়ে। পরিমাণমতো পানি দিয়ে আটা মাখিয়ে খামির করা, লাচ্ছি বানানো, এরপর বেলন দিয়ে বেলে রুটি তৈরি করতে হয়। বিষয়টি বেশ ঝামেলার! এরপর কারো কারো রুটি গোলাকৃতি হয় না, তাতে পরতে হয় বিপত্তিতে।
রুটি বানাতে গিয়ে গৃহিণীকে এমন সব ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ দিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাইবা রুটি মেকার। আটা লাচ্ছি করে মেকারে দিলে তিন সেকেন্ডে তৈরি হবে রুটি। এতে গৃহিণীরা বেলন ঘোরানোর হাত থেকে মুক্তি পাবেন। অল্প সময়েই বানাতে পারবেন পর্যাপ্ত রুটি।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলার ৭৮ নম্বর স্টলে গিয়ে লাইবা রুটি মেকারকে ঘিরে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।
আর বিক্রেতারাও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ‘দেখুন, তিন সেকেন্ডের জাদু! তিন সেকেন্ডে রুটি! গৃহিণীর কষ্ট কমাতে লাইবা রুটি মেকার কিনুন, পরিবার ঝামেলা মুক্ত রাখুন’, এমন সব বুলি আওড়াচ্ছেন।
আগ্রহী দর্শনার্থীদের লাইবা রুটি মেকার যন্ত্রটি দেখাচ্ছেন কাউসার নামে এক বিক্রেতা। আটার খামি রুটি মেকারের ভেতরে দিয়ে হাতল ধরে চাপ দিতেই গোলাকার রুটিতে পরিণত হলো! সত্যিই, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার!
কৌহতুলী দর্শনার্থীরা হাতে নিয়ে দেখছেন যন্ত্রটি। অনেকেই দামও জিজ্ঞাসা করছেন। পছন্দ হলে, দামে মিললে, কিনে নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়জনের জন্য। অনেকে অগ্রিম বুকিংও দিচ্ছেন।
লাইবা রুটি মেকার ফ্যাক্টরির সেলস অফিসার সাইদ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন মাগুরা জেলার মো. হুমায়ুন কবীর। পরিবেশ অধিদপ্তর তার যন্ত্রটিকে অনুমোদনও দিয়েছে। ২৫০০ টাকা থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকার মধ্যে রুটি মেকার পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রুটি বানানো যায়।
তিনি আরও বলেন, ছোট রুটি মেকারে কোনো ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি নেই। ফ্যামিলি রুটি মেকার কিনলে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট ও পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে। এছাড়া পছন্দমতো রুটি মেকার অর্ডার দিতে পারবেন।