• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

সহিংসতা করলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার বিশেষ প্রতিনিধি

আপডেটঃ : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মামলার রায়কে ( খালেদা জিয়ার)  কেন্দ্র করে কেউ সহিংসতা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার  ডিএমপি সদর দফতরে এক সংবাদ সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, কেউ শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কানও ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের পূর্ণ  প্রস্তুতি রয়েছে।  জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য পুলিশি যত কৌশল রয়েছে, সবকিছুই আমরা নিয়েছি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আমরা প্রিন্ট ,ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের গুজব-শঙ্কার কথা শুনছি। আমরা এসব বিষয়ে অবগত। নগরবাসীকে রক্ষার জন্য, সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের পূর্ণ  প্রস্তুতি  রয়েছে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে গণ গ্রেফতারের অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে মানুষের কথা বলার অধিকার রয়েছে। যে কেউ এটা বলতে পারেন। এ প্রসঙ্গে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি শুধু বলবো, কোনও গণ গ্রেফতারের ঘটনা নেই। এ ধরনের কোনও অভিযোগ আমার কাছে দিলে আমি তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্ট এলাকায় প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনার ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কাস্টডি থেকে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, ৭ জন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তারা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিল্মি স্টাইলে ফ্লাইং কিকসহ পুলিশকে শত শত লোক পেটাচ্ছে এটা আপনারা দেখেছেন। এর ১৫ দিন আগেও হাইকোর্টের মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর নির্বিচারে ইট-পাটকেল মারা হয়েছে। অনেক গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের আছে। এরকম যারা ভাংচুর করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে, সেসব আসামিদের তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এবং ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের  গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি  বলেন, এরই মধ্যে কোনও কোনও টেলিভিশনে বলা হয়েছে, এরা অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু আমরা তিন জনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরেছি। তারা একটি দলের নেতাকর্মী। আমরা মিথ্যা বলতে পারি, কিন্তু প্রযুক্তি  মিথ্যা বলতে পারে না। ভিডিও ফুটেজ মিথ্যা বলতে পারে না। তারা অকপটে সবকিছু স্বীকার করেছে। বিজ্ঞ আদালতে তাদের প্রসিড করা হয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, অগ্নিসন্ত্রাস-বোমা সন্ত্রাস করা হয়েছে; তখনকার মতো যেকোনও ধরনের অপতৎপরতা কঠোর হাতে দমন করার জন্য, জনগণের সুরক্ষার জন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নেবো। সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেবো। কোনোভাবেই নাগরিকদের সুরক্ষা বিঘ্নিত করার সুযোগ আমরা দেবো না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা হাবীব-উন-নবী খান সোহেলকে আটকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তাকে (সোহেল) আটকের কোনও তথ্য নেই। বাংলাদেশ পুলিশের কোনও ইউনিট সোহেলকে আটক করেনি। এসব প্রোপাগান্ডা।
জনগণের মনে ভীতি ছড়াতে এসব করা হচ্ছে।
নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনও গুজবে কান দেবেন না। আপনাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের যেকোনও অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ