বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাণ্ডব শুরু করেছেন। সব দেখেও নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মালিকপক্ষের অনুগত থেকে তাদের স্বার্থরক্ষা করতেই যেন উঠে পড়ে লেগেছেন। সরকারি দলের নেত্রী ও নেতাদের আইন ভঙ্গের ব্যাপার আসলে সিইসির কিছুই করার থাকে না।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এমন অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে হেলিকপ্টারে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেলখানায় আটক রাখা হয়েছে। জামিন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন সব দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। জাতীয় নির্বাচনে সব দলকে সমান সুযোগ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্য ও আচরণে একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে মনে হয় না।
রিজভী বলেন, দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ গণতন্ত্রকামী জনগণ, অন্যদিকে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া ভোটারবিহীন ক্ষমতাসীনরা। ভোটারবিহীন সরকার নিজেদের নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। তাদের কোনোভাবেই মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
বেগম জিয়ার রায় নিয়ে দেড় মাসে প্রায় ছয় হাজারের মতো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের জামিন পাওয়ার যে অধিকার সেটিও সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করে বন্ধ করে রেখেছে। জেলখানাগুলো এখন নাৎসিদের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে টেনেহিঁচড়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
এর আগে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে ভোরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী। শনিবার ভোরে ১৫-২০ জন ঝটিকা মিছিল বের করে পরে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।