এমএস রডের মূল্য টন প্রতি আরো এক হাজার টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প মালিকরা। তারা বলেন, সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তার অঙ্গীকার হিসেবে এ দাম কমানো হলো। বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল এবং সিমেন্টের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সাথে আয়োজিত বৈঠকে গতকাল তারা এ ঘোষণা দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, বিএসইসি, ক্যাব এবং স্টিল ও রি-রোলিং মিল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল এবং সিমেন্টের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে রডের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের অবমূল্যায়ন, পরিবহন খরচ ও ট্যারিফ বৃদ্ধি এবং বন্দরের সমস্যার কারণে দেশের বাজারে এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল এবং সিমেন্টের মূল্য বেড়েছে। এছাড়া কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির ফলেও বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারা এসব পণ্যের আমদানি খরচ কমাতে বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য খালাসের দাবি জানান।
শিল্পসচিব বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা জোরদারের বিষয়টি নির্ভর করছে। তিনি বলেন, এমএস রড, এমএস অ্যাংগেল এবং সিমেন্টকে অবকাঠামো নির্মাণের মৌলিক কাঁচামাল। এসব পণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে আয়োজিত বৈঠকে স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প মালিকরা টন প্রতি রডের মূল্য দুই হাজার টাকা কমিয়েছিলেন। গতকাল শিল্পসচিবের সাথে বৈঠকে টন প্রতি এক হাজার টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়ায় বাজারে রডের দাম টন প্রতি তিন হাজার টাকা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।