খাবারে লবণ অতি জরুরি একটি অংশ। বেশি দিলেও যেমন খাওয়া যায় না, কম বা না দিলেও খাবারযোগ্য থাকে না। তেমনি লবণ বেশি খেলে, কম বা না খেলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। লবণের ভালো-মন্দ দুইটি দিক রয়েছে।
লবণ নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য খুবই জরুরি। লো ব্লাড প্রেসারের জন্য উপকারী, মাংসপেশী ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও সর্দি কমানো, সাইনাসের কনজেশন ভাব দূর করতে লবণ সাহায্য করে। শুকনো কাশির সময় মুখে সামান্য লবণ রাখলে ঘন ঘন কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
লবণ এক ধরনের স্ট্রেস ফুড। এটি সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে যা স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। ঘাম বেশি হয়ে লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে। তাই লবণ বেশি খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের আশঙ্কা থাকে। খাবারে বাড়তি লবণ খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। লবণ হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়, শরীর থেকে বর্জ্য বের হবার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর জন্য ইউরিক এসিড বৃদ্ধি, বাতের সমস্যা দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনিক ৪-৫ গ্রামের বেশি লবণ খায় তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। তাই প্রতি ১.৫-২ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। রান্নার সময় যতটা প্রয়োজন ততটা লবণ ব্যবহার করতে হবে। খাবার টেবিলে বারবার লবণদানী থেকে কাঁচা লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। যেসব খাবারে লবণ বেশি থাকে যেমন- আচার, প্যাকেটজাত স্যুপ, পনীরের বার্গার বা স্যান্ডউইচ, আলুচিপ, পপকর্ন এসব খাওয়া কমাতে হবে। ডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে লবণ খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ