চাকরির আবেদন করতে গিয়ে অনেকেই ছোট ছোট কিছু ভুল করে বসেন। কিংবা নিজের অজান্তেই এমন কিছু বিষয় এড়িয়ে যান, যেগুলোকে আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও, কাঙ্খিত চাকরিটি পাওয়ার পথে সেসব বিষয় বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। অনলাইন জব সাইট :সাধারণত চাকরি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলোতে নিজের সিভি আপলোড বা পোস্ট করার অপশন থাকে। যেহেতু এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত, তাই অনেকেই এসব ওয়েবসাইটে সিভি আপলোড করার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখান না। আমরা বলি কি, সবগুলো ওয়েবসাইটকে এড়িয়ে যাওয়া কি ঠিক? বরং গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো বেছে নিয়ে সেগুলোকে একটা করে সিভি পোস্ট করেই রাখুন না! একদিন না একদিন, কোনো না কোনো সুযোগ তো মিলে যেতেই পারে। অন্যদিকে শুধু অনলাইনগুলোর ওপর নির্ভর করে থাকাটাও কিন্তু ঠিক নয়।
সিভিতে অবান্তর তথ্য : সিভি বড় বা ভারি করার উদ্দেশ্যে, অনেকেই অনেক অবান্তর তথ্য জুড়ে দিয়ে থাকেন। তাতে যে হীতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, সে কথা ভেবে দেখেছেন? কেননা, অহেতুক তথ্যের সমাহার আপনার চাকরিদাতাকে বিরক্ত এবং আপনার সম্পর্কে তার মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে। ফলে সিভিটা তথ্যনির্ভর হোক, ঠিক আছে, তাই বলে অবান্তর তথ্য জুড়ে দেওয়ার মানে নেই।
নতুনত্ত্বের খোঁজে : চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে অনেকেই শুধু নতুন কোম্পানিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কেননা স্বভাবতই সেখানে চাকরির সুযোগ বেশি থাকে। তাই বলে, পুরনো কোম্পানিগুলোতে খোঁজ রাখার অভ্যাসটি ত্যাগ করা উচিত নয়। কেননা নতুন কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ যেমন বেশি, তেমনি প্রতিযোগীও বেশি থাকে। আর কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিংবা চাকরিটি সুনিশ্চিত হওয়ার মাঝে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন অজান্তেই জুড়ে থাকে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে যদিও অহরহ নতুন নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয় না; তবু তা হলে চাকরিটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
যোগাযোগে পদ্ধতি : চাকরি পাওয়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষমতা। সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার যদি যোগাযোগের ঘাটতি থাকে, তাহলে অনেক চাকরির সম্ভাবনা আপনার অজানাই থেকে যাবে।
প্রতিবন্ধকতা : অনেকেই ঠিক করে রাখেন, এই চাকরি করতেন তো, ওই চাকরি করবেন না! আর এই প্রাক-বাছাই মনমানসিকতা বা অভ্যাসের জন্য, কাঙ্কি্ষত চাকরির খোঁজে দিন কাটাতে কাটাতে, চাকরিই পাওয়া হয়ে ওঠে না কারও কারও। তাই বলি কি, কোন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়বেন- সেটি আগে থেকে ঠিক করে রাখা দোষের কিছু নয়। তাই বলে, নিজেকে শুধু সেই গণ্ডিতেই আটকে ফেলবেন না। বরং কাছাকাছি সেক্টরগুলোতেও চোখ রাখুন। চেষ্টা করুন চাকরি নেওয়ার। কেননা এ অভিজ্ঞতা আপনার ক্যারিয়ারকে শেষ পর্যন্ত নষ্টই করবে।