প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে, মিষ্টি হিসেবে, চিকিৎসা ও সৌন্দর্য-চর্চাসহ নানাভাবে ব্যবহার করে আসছে মধু। তবে চেষ্টা করবেন খাঁটি মধুটাই যেন আপনার সংগ্রহে থাকে। শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অনেক। আসুন মধুর কিছু গুণের কথা জানা যাক।
মধু হলো এক প্রকারের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ, যা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস হতে তৈরি করে এবং মৌচাকে সংরক্ষণ করে। এটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহারে চিনির চেয়ে এর অনেক সুবিধা রয়েছে। এর বিশেষ সুগন্ধের জন্য অনেকে চিনির চাইতে মধুকেই পছন্দ করে থাকেন।
আমাদের দেশে সুন্দরবনের মধুর স্বাদ, রং, হালকা সুগন্ধ এবং ঔষধি-গুণাবলির জন্য প্রসিদ্ধ। সুন্দরবনের বেশিরভাগ মধু কেওড়া গাছের ফুল থেকে উৎপন্ন। সুন্দরবনের মাওয়ালী সম্প্রদায়ের লোকেরা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং তা বিক্রয় করে জীবন নির্বাহ করে। মধুতে রয়েছে নানা পুষ্টি গুণ। অনেক ক্ষেত্রে মধুকে মহাওষুধও বলা হয়।
যেমন গাজরের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। এজন্য প্রতিদিন সকালে খাবার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। সমপরিমাণ আদার রস এবং মধুর মিশ্রণ কাশির সাহায্যে শ্লেষ্মা বের করে ফেলার একটি সহায়ক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি ঠাণ্ডা, কাশি, কণ্ঠনালির ক্ষত, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দেয়।
আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সাথে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিন বার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে। দু চামচ মধুর সাথে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।