ফিনল্যান্ডের একদল গবেষক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন লাল মাংস টাইপ টু ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ যারা লাল মাংস বেশি খান তাদের ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে লাল মাংসেই যে তারা ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি বেশী দেখেছেন তা নয়। অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও তারা দেখতে পেয়েছেন সেগুলোও টাইপ টু ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে মাংসের প্রোটিন এই ডায়াবেটিস বাড়ায় কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। গবেষকরা বলছেন মাংসের ভেতরে এমন কোন উপাদান আছে যেটি ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কোন উপাদান সে বিষয়ে তারা তেমন কিছু বলতে পারেননি। রেড মিট বা লাল মাংস শুধু যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিই বাড়ায় তা নয়। রেড মিট বা লাল মাংস বেশি খেলে করোনারী হূদরোগ এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বর্তমানে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন উদ্ভিজ প্রোটিন ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমায়। এজন্য তারা দুটি দলে মানুষ ভাগ করেছিল। এক দলকে উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ প্রোটিন দেয়া হয়েছিল। অপর দলকে দেয়া হয়েছিল কম মাত্রার উদ্ভিজ প্রোটিন। ফলাফলে দেখা গেল যাদের উচ্চমাত্রার উদ্ভিজ প্রোটিন দেয়া হয়েছিল তাদের ডায়াবেটিস কম হয়েছে। এছাড়া গবেষকরা ৫ গ্রাম প্রাণিজ প্রোটিনের জায়গায় ৫ গ্রাম উদ্ভিজ প্রোটিন দিয়ে দেখতে পেয়েছেন উদ্ভিজ প্রোটিন গ্রহনকারীদের ডায়াবেটিস কম হয়েছে। সুতরাং উদ্ভিজ প্রোটিনের দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। সিম, বরবটি, মটরশুঁটি, ডাল এসব খাদ্যতালিকায় বেশী বেশী রাখতে হবে। লাল মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। তবে উদ্ভিজ প্রোটিনে সব অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড থাকেনা। কিন্তু দুই তিনরকম ডাল যদি একসাথে মিশিয়ে রান্না করা হয় তবে সব এমাইনো এসিড পাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে হলে খাবারে বেশী উদ্ভিজ প্রোটিন রাখতে হবে। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে মাছ বেশী খাওয়া যেতে পারে। তবে যেসব মাছে আবার কোলেস্টেরল বেশী তা কম করে খেতে হবে। এভাবে সচেতনতার মাধ্যমেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব।