বর্তমান সময়ে তরুণ/ তরুণীরা নিয়োমিত কাজের দিকে একটু বেশিই ঝুঁকছে। নিয়োমিত কাজের পাশাপাশি দেশে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন খাতে পার্টটাইম কাজের সুযোগ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আরো আগে থেকেই শুরু হয়েছে পার্টটাইম কাজ। বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশ করেছে ১০টি কাজের কথা, যা করা যাবে ছাত্র জীবনেই। ঘরে বসেই করা যাবে এমন ১০ কাজের একটির সঙ্গে আপনিও যুক্ত করতে পারেন নিজেকে। এতে পড়ালেখার খরচ যেমন যোগাতে পারবেন, ভাগ্য সহায় হলে শিক্ষাজীবন শেষ না হতেই বড় উদ্যোক্তাও হয়ে যেতে পারেন। তখন চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না। আপনার পেছনেই অনেকে লাইন দেবে চাকরির জন্য। বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েকটি খাতে রয়েছে এই সম্ভাবনা। সম্ভাবনাময় কয়েকটি খাতের কথা এখানে আলোচনা করা হলো—
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট :বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও শুরু হয়েছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের ওপর আয়োজনের ভার দিয়ে নিজেকে নির্ভার রাখতে চান সবাই। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলো একদল চৌকস কর্মীর মাধ্যমে এই কাজের আঞ্জাম দেয়। একটু সাহস করে বাণিজ্যিকভাবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ আপনি করতেই পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন :গ্রাফিক্স ডিজাইনেও রয়েছে নিয়োমিত কাজের পাশাপাশি পার্টটাইক কাজের সুযোগ। ইনভাইটেশন কার্ড, বিজনেস কার্ড, বিভিন্ন জিনিসের ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ছবি প্রভৃতিতে এখন লাগছে গ্রাফিক্সের ছোঁয়া। আপনি যদি গ্রাফিক্সে পারদর্শী হয়ে থাকেন তবে আপনিও ধরতে পারেন এ বাজার। এ খাতে আপনার কত বছরের অভিজ্ঞতা তার চেয়ে দরকার আপনি কতটা দক্ষ? ও সৃজনশীল। তাই সহজেই নিজেকে যুক্ত করতে পারেন এ কাজে। অল্প সময় নিয়ে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন এই কাজ দিয়ে।
ওয়েব ডিজাইন : ওয়েব ডিজাইনেও রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি ইদানীং অনেকেই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও তৈরি করছেন। আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনের ওপর তিন মাস কিংবা ৬ মাসমেয়াদি একটি কোর্স করে নিতে পারেন। এতে আপনার মধ্যে যে দক্ষতা আসবে তা দিয়ে ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন এ ব্যবসা।
ফটোগ্রাফি : আজকালকার ছেলেমেয়েরা ফটোগ্রাফিতে বেশ ঝুঁকছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আসার পর মানুষের যেন ছবি তোলার মাত্রা বহু গুণে বেড়ে গেছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে এখন ক্যামেরার ঝলক চোখে পড়ার মতো। বিয়ের মতো অনুষঙ্গে নবদম্পতিরা শুধু বিয়ের দিন ছবি তুলে ক্ষান্ত হচ্ছেন না; প্রি-ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, পোস্ট ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এখন যেন সস্কৃতি হয়ে গেছে। আর নতুন করে গড়ে ওঠা এ সংস্কৃতি ভাগ্য খুলে দিয়েছে তাদের; যারা ভালো ছবি তুলেতে পারেন। অল্প পরিসরে একটি মোটামুটি মানের ক্যামেরা নিয়ে ফেসবুকে পেজ খুলে শুরু করতে পারেন এ ব্যবসা। এতে অল্প পুঁজিতে বড় ধরনের উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
মেকাপ আর্টিস্ট : বর্তমান সময়ে যেমন ছবি তোলা নিয়ে আগ্রহ ঠিক তেমনি, ছবিটি যেন সুন্দর হয় তার দিকেও ঝুঁকছে মানুষ। ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মেকাপ করার প্রবণতাও। কোনো অনুষ্ঠানে মেয়েরা নিজেদের মেকাপবিহীন কল্পনাও করে না। তাই কোনো পার্লারে কিছুদিন যাতায়াত করে বিদ্যাটা রপ্ত করে ফেলুন। আপনি যদি নিজের জন্য ভালো মেকাপ করতে পারেন তাহলে অন্যকে করিয়ে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ ছাড়া মেকাপ টিউটোরিয়াল ইউটিউবে আপলোড করেও গুনতে পারেন বাড়তি অর্থ।
ড্রাইভিং : প্রতিনিয়ত দেশে বেড়ে চলেছে মোটরবাইক ও প্রাইভেটকার এর সংখ্যা। যে পরিমাণে প্রাইভেটকার এর সখ্যা বাড়ছে সেপরিমাণে নেই যোগ্য ড্রাইভার। দক্ষ ড্রাইভার হলে চাকরির পাশাপাশি করা যাবে পার্টটাইম কাজ।