কর্মক্ষেত্রে থাকাকালে অর্থাৎ চাকরিজীবীরা যে সময়টায় অফিসে থাকেন সেসময়ে কাজের মধ্যেই নিয়োজিত থাকেন। আবার অনেক সময় কাজ কম থাকে। কাজের চাপ না থাকলে অনেকেই বিভিন্ন ব্যক্তিগত কাজে নিয়োজিত থাকেন। বেশির ভাগকেই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে তা বদঅভ্যাকে পরিনত হতে পারে, তাই বদঅভ্যাসকে পরিহার করার পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন।
যেমন-একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে ক্লান্তি আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে ক্লান্তি দূর করার জন্য কিছুক্ষণ পরপর হাত-মুখ ধুয়ে আসতে পারেন। লাঞ্চ বা ডিনারে অনেক বেশি করে ভাত খাবেন আর সারাদিন তেমন কিছু খাবেন না, এই অভ্যাস বাদ দিয়ে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সারাদিনই অল্প অল্প করে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কিছু খাবার সঙ্গে রাখতে পারেন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে বাইরের ভাঁজা-পোড়া খাবার বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বাদ দেয়াই ভালো। সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীর অনেকটা সতেজ থাকবে। লোকজনের সাথে কথা বলার সময় তার মুখের একেবারে কাছে গিয়ে কথা বলবেন না। নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন। কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট বা ভাইব্রেট মুডে রাখুন। কর্মক্ষেত্রে মোবাইলে ব্যক্তিগত কথা বলা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন। দরকারি কথা কাজের ফাঁকেই সেরে ফেলুন। অফিসের পিসিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অফিস টাইমে ফেইসবুক ব্যবহার, ইন্টারনেটে চ্যাটিং ইত্যাদি না করাই উচিত। অফিসে অযথা উচ্চস্বরে বা শব্দ করে হাসতে হাসতে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
এতে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয়, আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতিও সহকর্মীদের ধারণা খারাপ হয়। কর্মক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রের পোশাক পরিহিত অবস্থায় চলার পথে সহকর্মী ও অপরিচিতদের সাথে সবসময় ভদ্র ও মার্জিতভাবে কথা বলুন। কারো কথা শুনে না বুঝেই হঠাত্ উত্তেজিত হয়ে যাবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। সে কী বললো তা ভেবে দেখুন এবং তার সাথে সংযতভাবে আলাপ করুন। অফিসের পোশাক পড়ে বাইরে চলাফেরার সময় অপরিচিত লোকদের সাথে অযথা কথা বলতে না যাওয়াই ভালো। কর্মক্ষেত্রে তো নয়ই, বরং অফিসিয়াল ড্রেস পরিধান করে কর্মক্ষেত্রের বাইরেও সিগারেট বা যে কোনো ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবেন না। আশেপাশের মানুষের কাছে অন্যের নামে বদনাম করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে আপনার উপরেই সবার ধারণা খারাপ হবে।