টেক জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে ধর্ষণের অভিযোগকারীদের পরিচয় প্রকাশ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনলাইনে গুগল ব্যবহার করে এসব বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করলে ওই ঘটনায় যার ওপর হামলা হয়েছিল বা যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছিল তার নাম দেখতে পারছেন ব্যবহারকারীরা।
যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে, সাধারণত ধর্ষণের মামলায় অনিরাপদ বাদী পক্ষকে তাদের নাম গোপন রাখার অধিকার দেয়া হয়। তবে কোন আদালত চাইলে তাদের নাম প্রকাশ করতে পারে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। খবরে বলা হয়, গুগলের ‘রিলেটেড সার্চ’ ও ‘অটোকমপ্লিট’ প্রক্রিয়ার জন্য এ সমস্যা হচ্ছে।
কেউ কোন ধর্ষণ মামলায় হামলাকারী সম্বন্ধে তথ্যের জন্য অনুসন্ধান করলে অটোকমপ্লিট প্রক্রিয়াটি ওই মামলায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম দেখিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য পরামর্শ দেয়। কেননা, এই নামটি গুগল এই ঘটনায় জনপ্রিয় অনুসন্ধান তালিকায় যোগ করে রেখেছে।
যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে, যৌন হামলার ঘটনায় অভিযোগকারীদের ও হামলার শিকারদের আজীবন নাম গোপন রাখার অনুমতি দেয়া হয়। এমনকি হামলাকারী খালাস পেয়ে গেলেও তাদের নাম গোপন রাখা হয়। এই আইন ভঙ্গ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষিত ব্যক্তি বা ধর্ষণের অভিযোগকারীদের নাম প্রকাশের কারণে নয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গুগলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা এড়াতে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। ডেইলি মেইল।