পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম কমেছে ১০ টাকা।
গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। এছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজান শুরুর পর থেকেই ক্রেতা সংকটে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। এছাড়া দেশে এবার চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমছে।
জানা গেছে, বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ১০ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দেশের অন্য বন্দরগুলোতেও একই অবস্থা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, মোকামগুলোতে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে উঠেছে। কিন্তু সে তুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি কম। এর ফলে রমজান শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমছে। কিন্তু প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে।
শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমা প্রসঙ্গে শান্তিনগর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শহিদ বলেন, আমাদের কাছে আগের বেশি দরে কেনা পেঁয়াজ রয়েছে। এই পেঁয়াজ শেষ হলে নতুন কেনা পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করা হবে। এদিকে রমজান উপলক্ষে সিটি করপোরেশন থেকে গরু ও মহিষের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না রাজধানীর অধিকাংশ মাংস ব্যবসায়ী।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার ও শান্তিনগরবাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাংস ব্যবসায়ীরা আগের মতই ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন। অথচ রমজান উপলক্ষে এ বছর সিটি করপোরেশন থেকে দেশি গরুর মাংস ৪৫০ টাকা, বিদেশি গরুর মাংস ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা এবং খাসির মাংস প্রতিকেজি ৭২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে ও পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে। শুক্রবার বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল, কাঁকড়ল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কম।
উল্লেখ্য, রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস ওঠে। এখন ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে।