পাট শিল্পের উন্নয়নের জন্য তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার এ তহবিল থেকে সুদ ভর্তুকির পর আড়াই শতাংশ হারে ঋণ পাবেন পাট চাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। গঠিত নীতিমালা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পাট শিল্পের উন্নয়নের জন্য ২ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের জন্য বিজেএমসি চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি চারটি সভার মাধ্যমে এ নীতিমালা প্রণয়ন করে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেহেতু এটি একটি বিশেষ তহবিল এবং প্রায় সংকটাপন্ন পাট খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় ২ শতাংশ এবং তফসিলি ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় ৩ শতাংশসহ মোট সুদ ৫ শতাংশ সুদ হবে। তবে এর অর্ধেক সুদ ভর্তুকি হিসাবে সরকারি তহবিল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পরিশোধ করা হবে। অর্থাত্ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা ব্যয়ের ১ শতাংশ এবং তফসিলি ব্যাংকের পরিচালনা ব্যয়ের ১ দশমিক ৫ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে সুদ ভর্তুকি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রদান করা হবে। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে আড়াই শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে অনাদায়ী পরিমাণের জন্য অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে সুদ আরোপ হবে। অতিরিক্ত অর্জিত এ সুদ বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে যথাক্রমে ২ এবং ৩ শতাংশ হারে বণ্টন হবে।