• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২৫ দশমিক ৬০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
বন্দরের কোয়ারেনটাইন অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, প্রতি টনের আমদানি মূল্য ৩’শ ডলার। টাকার অংকে প্রতি টনের দাম ২৫ হাজার ২’শ টাকা। এর সাথে ভ্যাট ট্যাক্স আছে। দেশে কাঁচা মরিচের দাম চড়ে যাওয়ার পর থেকে এ বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
হিলি স্থল বন্দর দিয়েও কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। এ বন্দরের কোয়ারেনটাইন অফিসের উপ পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ৫ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে ১৩১ দশমিক ১১০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। প্রতি টনের আমদানি মূল্য আড়াই’শ ডলার বলে তিনি জানান।
এদিকে পশ্চিমের জেলা গুলোতে বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছে পচন ধরেছে। এছাড়াও ফুলফল পচে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের দাম চড়ে গেছে।  মাস খানেক ধরে কাঁচা মরিচের দাম চড়ছে। পশ্চিমের জেলা গুলোতে খুচরা প্রতি কেজি দুশো টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলায় রবি মৌসুমে ৭৬০ হেক্টরে, ঝিনাইদহ জেলায় ১ হাজার ৩৫৫ হেক্টরে, মাগুরা জেলায় ২১১ হেক্টরে, কুষ্টিয়া জেলায় ১ হাজার ২৭০ হেক্টরে ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩৮৭ হেক্টরে মরিচের চাষ হয়। এখন শেষ অবস্থায় মরিচের উৎপাদন একবারে কমে গেছে। নতুন করে মরিচ লাগানো হচ্ছে। ফলন শুরু হলে দাম কমবে।
তবে চাষিরা জানান, বৃষ্টির কারণে পানি জমে মরিচ গাছের গোঁড়া পচে গাছ মরে যাচ্ছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের চাষি হানেফ আলি শেখ জানান, তার ১০ শতক জমিতে মরিচ আছে। গাছের গোঁড়ার ছাল পচে গাছ মরে গেছে। সামান্য কয়েকটি গাছ বেঁচে আছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে এক মন মরিচ ধরত, এখন সেখানে মাত্র ৫ কেজি মরিচ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক চণ্ডিদাস কুণ্ডু বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ মরে গেছে। নতুন মরিচ উঠার পর দাম কমবে বলে তিনি আশা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ