ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে সোমবার বিকেলে মুখোমুকি বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিজ নিজ দেশে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ শীর্ষ বৈঠক নিয়ে নিজ দেশে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, অপরদিকে এ বৈঠক রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের জন্য একটি ভূরাজনৈতিক বিজয়।
এ শীর্ষ বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ কথাবার্তা ছাড়া বড় ধরনের কোনো সাফল্য অর্জিত হবে না বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক মেরামত শুরু করার বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে, পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সিরিয়ার মতো কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সংলাপ শুরু করার বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরস্পরের নেতৃত্বগুণের প্রশংসাকারী এই দুই নেতা তাদের দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম ফের পূর্ণদ্যোমে শুরু করার এবং জব্দ করা কূটনৈতিক সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটেনে রাশিয়ার এক সাবেক গোয়েন্দাকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।