• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

যে কারণে ফল খারাপ

আপডেটঃ : শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮

গতবারের মতো এবারও ফল খারাপের জন্য বেশকিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো— নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন, ইংরেজি বিষয় ও মানবিকে খারাপ করা।
সংশ্লিষ্টদের অভিমত, নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন করায় শিক্ষকদের নিজেদের ইচ্ছেমতো নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার সুযোগ ছিল না। এ কারণে খাতার প্রকৃত মূল্যায়ন হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন করায় পাসের হার কমেছে। সকল খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয়েছে। যা বাস্তব, যা সত্য সেই ফল বেরিয়ে এসেছে।’
নতুন এই পদ্ধতিতে প্রশ্নের একটি সাধারণ উত্তরও প্রস্তুত করে পরীক্ষকদের দেওয়া হয়। এটাকে মানদণ্ড ধরে শিক্ষকরা নম্বর দিয়ে থাকেন। এবার ইংরেজি বিষয়েও খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়ভিত্তিক পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেখানে ঢাকা বোর্ডে বাংলায় পাস করেছে ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ সেখানে ইংরেজিতে পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যশোর বোর্ডে বাংলায় পাস করেছে ৯৩ শতাংশের বেশি। কিন্তু এই বোর্ডে ইংরেজিতে পাস করেছে ৬৫ শতাংশ। অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে তুলনামূলক আইসিটিতেও খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। এবার দিনাজপুর বোর্ডে পাস করেছে ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। যা সার্বিক ফলে প্রভাব ফেলেছে।
শিক্ষার্থীদের মানবিকে খারাপ করাও সার্বিক ফলে প্রভাব ফেলেছে। এবার বিজ্ঞানে পাস করেছে ৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর ব্যবসায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ মানবিকে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মানবিকে প্রায় অর্ধেক ছাত্র ফেল করেছে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, বিজ্ঞানের সব কয়টি বিষয়ে পরীক্ষা কঠিন হয়েছে। একই সঙ্গে আইসিটি পরীক্ষা তুলনামূলক কঠিন হয়েছে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় এবার ভালো ফল করেছে কুমিল্লা বোর্ড। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের মত এবারও কুমিল্লা বোর্ড খারাপ করলে সব বোর্ডের পাসের হার আরো ৫-৬ শতাংশ কমে যেত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ