বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিয়া লোকসভা অধিবেশনে বলেছেন, ‘গরু জবাই হলে গণপিটুনিও চলবে’। তার বক্তব্যের পর গরুরক্ষার নামে গণপিটুনি ইস্যুতে ভারতের সংসদের দুই কক্ষই উত্তাল হয়ে ওঠে। কড়া আইন আনার দাবিতে লোকসভায় সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। তার আগে বাইরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা।
মঙ্গলবার সকালে গাঁন্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েতের পর গলায় ব্যানার ঝুলিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ চত্বরে তৃণমূলের প্রতিবাদেই বোঝা গিয়েছিল সংসদের ভিতরেও অলওয়ার নিয়ে ঝড় উঠতে চলেছে।
লোকসভার অভ্যন্তরে গরুরক্ষার নামে গণপিটুনি নিয়ে আলোচনার দাবি জানান তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ভারতে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অধিকাংশ বিরোধী দলের সাংসদরা গণপিটুনি নিয়ে আলোচনা চাইছেন।’
যদিও স্পিকার জানান, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। যদিও তাতে বিরোধীদের আক্রমণ থেমে থাকেনি। বিরোধীরা তুমুল হইচই শুরু করেন। তার জেরে একাধিকবার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে এ নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। সিপিএমের মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর। গণপিটুনির নায়কদের মালা পরালে দেশে এই অবস্থাই হবে।’
পরে সংসদের বাইরে সুদীপ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় হলেও গণপিটুনির এই প্রবণতা সারা দেশেই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই কেন্দ্রকেই কড়া আইন আনতে হবে।
জবাবে এদিন ফের ৮৪-র শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলেন রাজনাথ সিং। কেন্দ্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন জানিয়ে রাজনাথ বলেন, ১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গার সময়ই সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
সংসদের বাইরে বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে অপপ্রচার করে বিশ্বের কাছে ভারতের মাথা হেঁট করানোর অধিকার কারও নেই।’