তিন বছরের এক শিশুর কান্নায় বিরক্ত হয়ে বিমান থেকে দুই ভারতীয় পরিবারকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে। শুধু নামিয়ে দেওয়াই নয়, তাঁদের প্রতি জাতিবিদ্বেষ মূলক মন্তব্যও করা হয়। সম্প্রতি লণ্ডন থেকে বার্লিন যাওয়ার একটি বিমানে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই ব্রিটিশ বিমান সংস্থায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ভারতের বেসরকারি বিমান পরিবহনমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে চিঠি দিয়ে ঘটনার বিবরণ জানিয়েছেন সরকারি ওই শিশুর বাবা। তিনি পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
শিশুটির বাবা চিঠিতে লিখেছেন, কিছু দিন আগে তিনি লণ্ডন থেকে বার্লিন যেতে একটি বিমানে উঠেছিলেন। সঙ্গে স্ত্রী এবং তিন বছরের শিশু ছিল। বিমানে ওঠার পর থেকেই বাচ্চা কাঁদতে শুরু করে। তার মা কান্না থামানোর অনেক চেষ্টা করলেও সফল হননি। বিমান আকাশে উড়ার সময়ও কান্না না বন্ধ হলে বিমানকর্মীরা তাঁদের কাছে ছুটে আসেন এবং বাচ্চাকে বকাবকি করতে শুরু করেন। এতে সে আরও ভয় পেয়ে যায় এবং আরও বেশি জোরে কাঁদতে শুরু করে। তাঁদের পিছনের আসনে আরও একটি ভারতীয় পরিবার ছিল। তাঁরাও বাচ্চাকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
তাঁর অভিযোগ, বিমানের ওই কর্মীরা তাঁদের উদ্দেশে চিৎকার করে জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছুড়তে থাকেন। পিছনের সারিতে বসা যে পরিবার বাচ্চার কান্না থামাতে সাহায্য করছিল তাদের লক্ষ্য করেও খারাপ মন্তব্য করেন তাঁরা। এমনকি কান্না বন্ধ না করলে জানলা দিয়ে বাচ্চাটিকে ছুড়ে ফেলার হুমকিও দেন। ওই বিমান কর্মীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনছিলেন না।
এর পর বিমানকর্মীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন এবং বিমানকে টার্মিনালে দাঁড় করান। কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী এসে তাদের বোর্ডিং পাস কেড়ে নেন ও ওই দুই ভারতীয় পরিবারকেই বিমান থেকে নামিয়ে দেন তারা।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বলছে, ‘আমরা কোন বৈষম্য সহ্য করি না। খুবই গুরুত্বের সঙ্গে এই অভিযোগ বিবেচনা করা হচ্ছে।’