কয়লার অভাবে দীর্ঘ এক মাস বন্ধের পর সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সাময়িকভাবে উৎপাদনে যাবে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঈদের ছুটির সময় বিদ্যুতের চাপ কমাতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কয়লা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২নং ইউনিটটি চলতি বছরের গত ২৯ জুন বন্ধ করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ২ নং ইউনিট থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। একই কারণে গত ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে তৃতীয় ইউনিটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধের দিন পর্যন্ত তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে ওভারহলিং কাজের জন্য ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর থেকে বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নং ইউনিট।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ) মাহাবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের বাসাবাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ভোলটেজ কমে গেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে। এরপরও আসন্ন ঈদের ছুটির সময় বিদ্যুতের ওপর চাপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ কারণে বিদ্যুতের চাপ কমিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা সহনীয় পর্যায় আনতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নং ইউনিটটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়লাখনির ফেইস উন্নয়ন কাজে উত্তোলিত সামান্য কিছু কয়লাসহ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পূর্বের মজুদ যার পরিমাণ পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেট্রিক টন দিয়েই সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিম সরকার মুঠোফোনে বলেন, সোমবার সকালে ২নং ইউনিটে ফায়ার দেওয়া হবে। ইউনিটের বয়লার গরম হতে অন্তত ওইদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা লেগে যেতে পারে। তবে সন্ধ্যার মধ্যেই সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।