জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।এর অংশ হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ ভ্যাট পাওনা রয়েছে, তাদেরকে রাজস্ব পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।পাশাপাশি মামলাসমূহ দ্রুত নিস্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এলটিইউ কমিশনার মুহম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, এনবিআরের নির্দেশনা মোতাবেক বকেয়া ভ্যাট আদায়ে আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। বকেয়া ভ্যাট নিয়ে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আইনি পদক্ষেপ আরো জোরালো করা হবে।এছাড়া এলটিইউ আওতাভূক্ত ভ্যাট বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানকে রাজস্ব পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট পাওনা রয়েছে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে চিঠি দিয়ে রাজস্ব পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া না গেলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বর্তমানে গ্যাস কোম্পানি, বেসরকারি মোবাইল অপারেটর, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এলটিইউর ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ভ্যাট বকেয়া রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করে সরকারের কোষাগারে জমা দেন না এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।
এদিকে, বড় করদাতা প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবার বিপরীতে যে মূল্য ঘোষণা করবে, তা যাচাই-বাছাই করে দেখবে এলটিইউ কর্মকর্তরা। এতদিন এলটিইউর আওতাভূক্ত বড় করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য ও সেবার বিপরীতে যে মূল্য ঘোষণা করত, সেটা প্রায় সব ক্ষেত্রে মেনে নিতেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। তবে এখন থেকে মূল্য ঘোষণা যাচাই-বাছাইয়ের সময় এলটিইউ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে না বলে জানান এলটিইউ কমিশনার।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই ধরনের উদ্যোগের ফলে এলটিইউর ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এনবিআরের ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এলটিইউর ৬০ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় করতে হবে।