বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছেন ১২ জন। এদের মধ্যে ৯ জন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক। আর ২ জন বাণিজ্যিক ব্যাংকের এবং একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পদে নিয়োগের জন্য গত ২৯ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নরের মধ্যে আবু হেনা মো. রাজী হাসানের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১০ সেপ্টেম্বর। এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটি কাজ করছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগের জন্য এ কমিটি সরকারের কাছে তালিকা পাঠাবে। এর আগে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে মৌখিক পরীক্ষার জন্য শিগগিরই ডাকা হবে। সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনার জন্য গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আবেদনকারীদের তালিকায় রয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. ইস্কান্দার মিয়া, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভুঁইয়া, মো. আব্দুর রহিম, অশোক কুমার দে, লাইলা বিলকিস আরা, সেখ মোজাফফর হোসেন, সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জোদ্দার, শুভঙ্কর সাহা ও সুলতান আহাম্মদ। এছাড়া গত আগস্টে ইউসিবির এমডি পদ হারানো এ ই আব্দুল মুহাইমেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রভাষক এ পদের জন্য আবেদন করেছেন।
প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বা বিদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা বাণিজ্যিক ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যার মধ্যে কয়েক বছর শীর্ষ পর্যায়ে চাকরি করতে হবে। আর শীর্ষ পর্যায় বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিচে হবে না। প্রার্থীকে দেশ বা বিদেশ থেকে অন্তত স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। ৩০ আগস্ট প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স হবে ৬০ বছর। এই নিয়োগ হবে চুক্তিভিত্তিক। মেয়াদ কতদিন হবে তা সরকার নির্ধারণ করবে। তবে সর্বোচ্চ ৬২ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা যাবে।