কানাডায় আশ্রয় পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত বলে জানিয়েছেন বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা ধর্মত্যাগী সৌদি কিশোরী রাহাফ আল-কানুন। ‘নতুন বাড়ি’তে দ্রুত বসবাস শুরু করতে চান তিনি। খবর কানাডার সংবাদ মাধ্যমে সিবিসির।
এর আগে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে আসেন রাহাফ। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার পথে থাইল্যান্ড তাকে আঁটকে দেয়।
ব্যাংকক থেকে রাহাফকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলো থাই কর্তৃপক্ষ। পরে বিমানবন্দরে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখলে বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম হন এই কিশোরী।
রবিবার টরোন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর রাহাফের সঙ্গে ছিলেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তিনি জানান, কানাডার রাহাফের নতুন ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না। দীর্ঘ বিমানযাত্রার কারণে সে অত্যন্ত ক্লান্ত।
‘‘রাহাফ চাইছে কানাডিয়ানরা দেখুক সে এখানে এসেছে। জানাতে চায় সে অত্যন্ত সুখে আছে। রাহাফ তার নতুন ঠিকানায় অনেক অনেক খুশি। এখন থেকে তার পরিচয় ‘নতুন সাহসী কানাডিয়ান’’ বলেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ রাহাফকে বৈধ শরণার্থী বলে ঘোষণা দিয়েছে। রাহাফের দাবি, ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় তার জীবন হুমকির মুখে। তিনি জানান, অতি তুচ্ছ অপরাধেও তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় পরিবার। অন্যদিকে সৌদি আরবে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
আরও পড়ুনঃ সৌদি তরুণীকে আশ্রয় দিল কানাডা
সৌদি আরবের অভিভাকত্ব আইন অনুযায়ী বাবার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরেও যেতে পারে না মেয়েরা। বাবার আদেশ না মানলে যেতে হয় জেলে। রাহাফের দাবি পরিবার তাকে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিতো।