‘শিশুদের কল্যাণে আমরা সবাই’ এই শ্লোগান নিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে, সমাজকল্যাণ ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৪৯০টি উপজেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক শিশু সাহিত্যিক আনজির লিটন জানান, প্রাথমিক প্রযোগিতা শুরু হবে স্কুল পর্যায় থেকে, এরপর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে আটটি বিভাগে এবং সর্বশেষ ঢাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, গান, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ আদিবাসীদের কয়েকটি ইভেন্ট, নাটক, উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি, রবীন্দ্র সংগীত, ক্রীড়ায় কয়েকটি ইভেন্টসহ মোট ত্রিশটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি উপজেলা/থানা পর্যায়ে, ২৩ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এবং ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ঢাকায় হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। মার্চ মাসে বিজয়ীদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করবেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক।
এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ২৩৭টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এ বছর ‘সেরাদের সেরা’ শিরোনামে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারী পাবে সেরাদের সেরা পুরস্কার। এই বিজয়ী শিশু একাডেমির ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে পরবর্তী তিন বছর একাডেমির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি ‘ক’ বিভাগ, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি ‘খ’ বিভাগ এবং সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: যতো বড় জয়, ততো বড় শঙ্কা: মোহাম্মদ নাসিম
শিশু একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিযোগিতা সার্বিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো বাংলাদেশকে জানো’ শীর্ষক একটি বিভাগ করা হয়েছে। এই বিভাগে জাতীয় পর্যায়ে নয়টি পুরস্কার প্রদান করা হবে।