আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আমার কথায় তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, প্রকৃত পক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা এখন ভয়ভীতি-ত্রাস ছড়িয়ে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখছে। দেশে এত টিভি চ্যানেল, কয়টি গণতন্ত্রের কথা বলে, ভিন্নমত তুলে ধরে? সুশীল সমাজের কেউ টক শোতে কথা বলেন না, পত্রিকায় লেখেন না। দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
ক্ষমতাসীনরা জমিদারি ভাব নিয়েই দেশ শাসন করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে নিজের হাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে। মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের চরিত্রে মধ্যে জমিদারি ভাব রয়েছে। জমিদারি ভাব নিয়েই তারা দেশ শাসন করতে চায়। তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা শুরু করেছে। এবার আওয়ামী লীগের ফাঁদে দেশের জনগণ পা দেবে না। বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার আর সেটা হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে জনসভা করতে বাধা না দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নতুন নাটক। আমাদের কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। আওয়ামী লীগের এই শান্তি সমাবেশের নাম শুনলেই মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর গড়া শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। যারা ক্ষমতায় যায়, তারা পরের বার ক্ষমতায় থাকতে নানাভাবে চেষ্টা চালায়। দেশের রাজনৈতিক সংকট দূর করতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছিল। ক্ষমতায় যেতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না বিএনপি। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, জনগণ নিজের ভোট যেন নিজে দিতে পারে, সে জন্যই এই দাবি জানিয়েছে বিএনপি।