সৌদি বাদশাহ সালমান তার দেশ সফরের জন্য ইরানি প্রেসিডেন্টকে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, ইব্রাহিম রাইসি তা উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন। ইরানি এক কর্মকর্তা রোববার এ কথা জানিয়েছেন। চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সফরের জন্য এই আমন্ত্রণ জানালেন বাদশাহ সালমান।
ইরানি প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি টুইটবার্তায় বলেন, ‘ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে লেখা এক চিঠিতে দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যকার চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ এবং তিনি তাকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আঞ্চলিক এই দুই পরাশক্তি ১০ মে চীনের মধ্যস্ততায় তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে।
সৌদি আরব ২০১৬ সালে শিয়া আলেম নিমর আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকর করার পর সৌদি কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ইরানি বিক্ষোভকারীদের হামলার প্রেক্ষাপটে তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ। এটি ছিল দুই দেশের মধ্যকার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটিমাত্র ঘটনা।
চীনের মধ্যস্ততায় হওয়া চুক্তির ফলে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব দু’মাসের মধ্যে আবার তাদের দূতাবাস ও মিশনগুলো চালু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ২০ বছরেরও বেশি আগে সই করা নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তিগুলোও বাস্তবায়ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, দু’দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনে সম্মত হয়েছে।