• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

চীনা পরিকল্পনা যুদ্ধ বন্ধের ভিত্তি হতে পারে : পুতিন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

মস্কো সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

চীনের শান্তি পরিকল্পনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ভিত্তি হতে পারে বলে মনে করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি বলেন, কিয়েভ ও পশ্চিমারা যদি প্রস্তুত থাকে, তাহলেই চীনের শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। মস্কো সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন পুতিন। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও চীন ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত সোমবার তিন দিনের সফরে মস্কো যান চীনা প্রেসিডেন্ট। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ১২ দফা প্রস্তাব করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এ ১২ দফার মধ্যে ‘শত্রুতা বন্ধ করা’ এবং ‘শান্তি আলোচনা’ শুরুর প্রস্তাব রয়েছে। তবে সে পরিকল্পনায় রাশিয়াকে সুনির্দিষ্টভাবে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়নি। অন্যদিকে, চীনের এ শান্তি প্রস্তাব যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার কৌশল হতে পারে বলে গত শুক্রবার সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, রাশিয়া যেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছেড়ে যায়, সে বিষয়টি যে কোনো আলোচনার শর্ত হিসেবে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রস্তুত থাকার কোনো লক্ষণ নেই বলেও মনে করছে ইউক্রেন।

মস্কো সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রিয় বন্ধুকে পুতিন, আমরা তোমার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করব

এদিকে, বৈঠকের সময় শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন একে অপরকে প্রিয় বন্ধু (ডিয়ার ফ্রেন্ড) বলে সম্বোধন করেন বলে জানায় বিবিসি। বৈঠকে পুতিন বলেন, আলোচনা চালানোর জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইউক্রেনের ভূমি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়—এমন একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিজয়কে অনুমোদনে সমর্থন করে। সেনা প্রত্যাহারের কথা বলার পরিবর্তে প্রস্তাবে চীন সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছে। এ ছাড়া সব পক্ষকে সংযমী হতে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করতে বলা হয়েছে প্রস্তাবে। সেইসঙ্গে প্রস্তাবে ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ নিন্দা জানানো হয়েছে—যা মূলত ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের প্রকাশ্য সমালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ