ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল বৈঠক করতে ডিএমপিতে যায়। প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, আজকের বৈঠকে ঢাকা মহানগরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে গিয়ে পুলিশী হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো ডিএমপি কমিশনারকে জানানোর পাশাপাশি কী কারণে গ্রেফতার হচ্ছে- এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি না যে কোনো বাড়িতে, কোনো রেস্টুরেন্টে, কোনো সভা করতে পারবে না। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল। এটা আমরা ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করেছি। এভাবে যেন গ্রেফতার করা না হয়। পাশাপাশি আমরা যেটা বলেছি, গ্রেফতার করার পর সরকার মহল থেকে বলা হয় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। এটা সত্য কথা না।
তিনি আরো বলেন, দেখা গেছে ইতোমধ্যে আমাদের যে নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই জামিনে আছে। যে সমস্ত মামলা সরকার অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে দিয়েছে, তারপরও সেগুলো মামলার হাইকোর্ট ও জজকোর্ট থেকে জামিন নেয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম বলেন, সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে। আর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে কাবু করার জন্য, বিএনপিকে ঘরে ঢুকানোর জন্য, তারা বিএনপি নেতা, সংগঠককে বেছে বেছে, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবে এটা হতে পারে না। এটার আমরা প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিলগুলো করতে চাই। এ ব্যাপারে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যতটুকু পুলিশের সহযোগিতা দরকার। সেই সহযোগিতা আমরা চাই। কোথাও যাতে অন্যায়ভাবে কোনো গ্রেফতার না হয়। সে ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করি, সেটা তাকে বলেছি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ডিএমপি কমিশনার সাহেব খুব আন্তরিকতার সহকারে বলেছেন, ‘আপনারা অবহিত করবেন। কোনো সমস্যা হবে না।’ সেটা তিনি দেখবেন। এবং গ্রেফতারের ব্যাপারেও বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি, জেনেছি। দেখব ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়।’ সেটাও তিনি বলেছেন।
তিনি বলেন, সার্বিক ব্যাপারে আমরা সবচিত্র তুলে ধরেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়গুলো তিনি দেখবেন এবং দেখার ব্যবস্থা করবেন।
বৈঠকে বিএনপির পাঁচ প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।