ইউক্রেনকে ১৮টি লেপার্ড যুদ্ধ ট্যাংক পাঠিয়েছে জার্মানি। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্লিন। রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে এই ট্যাংক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জার্মানি।
লেপার্ড–২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়—এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।
জার্মানির জনপ্রিয় সাময়িকী স্পিগলের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ লেপার্ড ট্যাংকটি গত শুক্রবার সীমান্ত পার হয়ে ইউক্রেনে যায়। এছাড়া জার্মানি ইউক্রেনকে ৪০টি মার্ডার পদাতিক যানও পাঠিয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এখন নেদারল্যান্ডস সফর করছেন। গতকাল দেশটির রটারডামে ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় শলৎসের কাছে ইউক্রেনকে ট্যাংক সরবরাহের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা ইউক্রেনকে লেপার্ড ট্যাংক সরবরাহ করেছি। আমরা খুবই আধুনিক ট্যাংক সরবরাহ করেছি।’
লেপার্ড–২ ট্যাংকের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এ ট্যাংকে নাইটভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার রুক্ষ ভূখণ্ড বা রুক্ষ ভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে।
লেপার্ড–২ ট্যাংক হলো বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক। জার্মানির সেনাবাহিনী এবং অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এ ট্যাংক ব্যবহার করে। ইউরোপীয় নয়—এমন দেশগুলোর মধ্য কানাডা ও ইন্দোনেশিয়া এই ট্যাংক ব্যবহার করে। আফগানিস্তান, কসোভো ও সিরিয়ার সংঘাতে ডিজেল ইঞ্জিনচালিত এ যুদ্ধট্যাংকের ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।