সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলায় মার্কিন এক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বসবাস করে এমন একটি বাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। মনে করা হচ্ছে, ড্রোনটির সঙ্গে ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। খবর সিএনএনের।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই হামলায় আরও পাঁচ মার্কিন সার্ভিস সদস্য আহত হয়েছেন।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেটি ইরানের তৈরি।
এর জবাবে বিমান হামলা চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরানের ইসলামিক রেব্যুলেশনারী গার্ডের আর্শীবাদপুষ্ট গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালানো হবে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিশোধ নিতে এরই মধ্যে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে ইরানপন্থি ১১ যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এক দশকেরও বেশি সময় পর পুনরায় দূতাবাস চালু করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও সিরিয়া। সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। এটি আরব বিশ্বে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত বলে ধরা হচ্ছে। এর আগে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নেয় সৌদি আরব।
দামেস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার যুগান্তকারী চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যেও যোগাযোগ ত্বরান্বিত হয়েছে।