• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

জলবায়ু অভিবাসীদের সুরক্ষায় বৈশ্বিক উদ্যোগ বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

জলবায়ু অভিবাসীদের সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কোর গ্রুপ দ্বারা উত্থাপিত প্রস্তাবটি জলবায়ু ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংলাপের অংশ হিসেবে আয়োজিত একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

প্যানেল আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চরম ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মোমেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তুচ্যুতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমন সংক্রান্ত কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করে প্রণীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা; জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কক্সবাজারে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ হাতে নিয়েছেন।

জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জলবায়ু অর্থায়নসহ অন্যান্য বৈশ্বিক উদ্যোগ বাড়াতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি সম্প্রতি চালু হওয়া বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তার জন্যও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল জ্য-পিয়েরে লাখয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং উচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সৈন্য ও পুলিশ অবদানকারী দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করায় বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত দপ্তরগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির অনুরোধ করেন। প্রত্যুত্তরে জ্য-পিয়েরে লাখয়ার এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ