• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিলো সীমান্তে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্য প্রাণের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে খালেদা জিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে বন্ধ রাখা হয় ইত্যাদির শুটিং বঙ্গোপসাগরে দুইদিনে ধরাপরলো ১৯৫ মণ ইলিশ‌‌ যারা মাইনাস-টুর কথা বলে এটা তাদের মনগড়া: খসরু গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গে গা‌ড়ির সি‌লিন্ডা‌র বি‌ষ্ফোর‌ণের আগু‌নে চারজ‌নের মৃত‌্যু নাসরিন আক্তার পরিচয় দেওয়ায় নিপুণ আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ তামিম প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাওয়ায় শাস্তি পাচ্ছেন

৮১ বছরের দুই বৃদ্ধা ৮০ দিনে পৃথিবী ঘুরলেন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩

দুজনেরই বয়স পেরিয়েছে ৮০। অথচ মনের বয়স বাড়েনি এতটুকু। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, মাত্র ৮০ দিনে বিশ্ব ঘুরে ফেলেছেন দুই আশি ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা।

এত বড় ভ্রমণের ধকল সহ্য করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে তো একেবারেই নয়। কিন্তু এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে কার্যত ভুল প্রমাণ করে বিশ্বভ্রমণ করেছেন এই দুই নারী, দুজনেরই বয়স আশি পেরিয়েছে।

বলছিলাম এলি হ্যাম্বি ও তার বন্ধু স্যান্ডি হেজলিপের সম্পর্কে। দুজনেই মার্কিন নাগরিক। এলি একজন ফটোগ্রাফার ও হেজলিপ পেশায় চিকিৎসক। দুজনেরই ইচ্ছা ছিল জীবনে একবার অন্তত পুরো পৃথিবীটা ঘুরে দেখবেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যায় সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়ে ওঠেনি। এভাবেই জীবনের আশিটা বসন্ত পার করে ফেলেন দু’জনে। তবে তাদের স্বামীর মৃত্যুর পর দু’জনেই আরো নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। ঠিক করেন যেভাবেই হোক বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা সফল করবেন।

২০২৩ সালের শুরুতেই বেরিয়ে পড়েন তারা। প্রায় ৮০ দিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে বেড়ান দু’জনে। শুনতে অবাক লাগলেও, এত অল্প সময়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের দর্শনীয় স্থান ঘুরে ফেলেছেন তারা। তালিকায় মিসরের পিরামিড থেকে আরম্ভ করে আন্টার্কটিকার বরফ পর্যন্ত রয়েছে। ঘুরেছেন নেপালের বুদ্ধমঠ থেকে ফিনল্যান্ডের আশ্চর্য আকাশ পর্যন্ত।

তবে এই যাত্রাপথ যে একেবারেই মসৃণ ছিল তা নয়। বিশেষত মেরুপ্রদেশে ঘুরতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। অতিরিক্ত ঠান্ডায় দু’জনেই নাকি প্রায় জমে গিয়েছিলেন, তবু থেমে যাননি। মনের জোরে শেষ পর্যন্ত গিয়েছেন। তারপর দু’চোখ ভরে দেখেছেন প্রকৃতির অপরূপ শোভা।

নিজেদের এসব অভিজ্ঞতার কথা একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তারা। দেশ বিদেশে যেসব অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের, সেসব মুহূর্তই ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন দু’জনে। কখনো পেঙ্গুইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি, আবার কখনো আদিবাসী নৃত্যের তালে কোমর দোলানো, সবকিছুই ওই তথ্যচিত্রে রেখেছেন তারা। যা দেখার পর রীতিমতো অবাক সকলেই। এই বয়সে এসেও কিভাবে এতটা মনের জোর ধরে রেখেছেন তারা, সে প্রশ্নই উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একই সাথে তাদের সম্মানও জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ