মিয়ানমারে বিরোধীদের ঘাটি হিসেবে পরিচিত সাগাইং অঞ্চলে বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সামরিক জান্তা বাহিনী এ হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। দেশটিতে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।
হামলার সময় একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ভয়ংকর দৃশ্য বর্ণনা করে জানায়,আমি দেখলাম যে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে, মহিলারা চিৎকার করছে এবং মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মরদেহগুলো এত ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছে যে, গণনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা কিউনহলা অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপের মতে, মঙ্গলবারের এই বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে যেখানে কমপক্ষে ২০ জন শিশু ছিলো।
এদিকে জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) শ্রম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই হামলায় শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ বহু নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। এই ‘জঘন্য কর্মকাণ্ড’ যুদ্ধাপরাধের শামিল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের পাজিঘি গ্রামকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় সামরিক জান্তা বাহিনী। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন অফিসের উদ্বোধন উদযাপনের লক্ষ্যে প্রায় ৩০০ জন মানুষ পাজিঘি গ্রামে জড়ো হয়েছিল।