হাসপাতাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাসায় নেওয়ার বিষয়ে আজ বুধবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
মঙ্গলবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিয়মিত চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল চেয়ারপারসনকে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বুধবার চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।
এদিকে দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর কারণ একটাই তারা আবার খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিতে চান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে নয়, বরং বেশ কিছু দিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ। এর আগে একবার তাকে চার মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে এবং তখনও আপনাদের বার বার বলেছি, তিনি খুব জটিল কিছু রোগে ভোগছেন। তার মধ্যে আছে লিভার সংক্রান্ত জটিলতায়, হৃদরোগের সংক্রান্ত জটিলতা আছে, তার ডায়াবেটিক জটিলতা আছে এই বিষয়গুলো সবাই জানেন। এর পরেও যদি তারা এই সমস্ত কথা-বার্তা বলে, অপপ্রচার করে, এই কথা বলার অর্থই হচ্ছে তারা আবারো কোনো গভীর চক্রান্ত করছে। যে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে চেয়ারপারসনকে তারা আবার কারাগারে নিতে পারে কি না, পরিকল্পনা-চক্রান্ত করছে কি না সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বারবার করে বলেছি, তার চিকিৎসা পাওয়া একটা মৌলিক অধিকার। এজন্য ডাক্তাররা বলেছেন, তার মেডিকেল বোর্ড বলেছে, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার। বাংলাদেশে তার সেই উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার সে বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু এই ধরনের (অপপ্রচার) কথাবার্তা বলে অমানবিক আচরণ করছেন। এসব বিএনপি চেয়ারপারসন ও জনগণের সঙ্গে তামাশা বলে আমরা মনে করি।
৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানে ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল। এরই মধ্যে গত শনিবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে গত বছরের ১১ জুন হাসপাতালে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল থাকায় অন্য ব্লকে রিং পরানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তার এনজিওগ্রাম করা হয়।