ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকের আওয়ামী লীগের যে নেতৃত্ব আছেন, তাদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলেন।’
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক স্মরণভায় এসব কথা বলেন তিনি। সাবেক মন্ত্রী বাবু সুনীল কুমার গুপ্তের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করতে চাই- আপনারা কি দেখিয়ে দিতেন পারবেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের কয়জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটি রয়েছে, আমাদের সঙ্গে যারা আছেন তাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।’
‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেক পুরানো। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। তাকেও আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে দিয়েছে। কারণ তার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা এসেছেন তার সঙ্গে মিল ছিল না। আজকের যে আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে যারা নেতৃত্বে এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে আজকের নেতৃত্ব তেমন একটা মিল আছে বলে আমি মনে করি না’, বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘গতকাল ওয়াশিংটনে বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কোনো মতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। আমিও একই কথা বলি। কোনো মতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, লজ্জাজনকভাবে আজকে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকার আজকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
আজকে এই সরকারের কত দাম্ভিকতা উল্লেখ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যখন সব মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখন তারা বলছেন এই বাতিল করা হবে না। কেন হবে না? তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য।’
এই সরকার জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।