রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবন ক্রেমলিনের ড্রোন হামলা এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হত্যা চেষ্টার জন্য বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে মস্কো। সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করার পরদিনই ওয়াশিংটনের দিকে অভিযোগের আঙ্গল তুলল রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেন বুধবার ভোররাতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘কিয়েভ এবং ওয়াশিংটন উভয় ক্ষেত্রেই এটি অস্বীকার করার প্রচেষ্টা অবশ্যই একেবারে হাস্যকর। আমরা খুব ভালো করেই জানি যে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে, এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো কিয়েভে নয়, ওয়াশিংটনে নেওয়া হয়।’
তিনি বলেছেন, কথিত হামলার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘নিঃসন্দেহে’ জড়িত ছিল। ওয়াশিংটন প্রায়শই ইউক্রেনের আক্রমণের লক্ষ্য এবং তাদের আক্রমণ করার উপায় উভয়ই বেছে নেয়। কিন্তু অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পেশ করেননি তিনি।
পেসকভ বলেন, ‘এটি প্রায়ই সমুদ্রের ওপার থেকেও নির্দেশিত হয়। আমরা এটি ভালভাবে জানি এবং এ সম্পর্কে সচেতন। ওয়াশিংটনের অবশ্যই স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে যে আমরা এটি জানি।’
রাশিয়া ক্রমবর্ধমান ফ্রিকোয়েন্সিসহ বলেছে যে তারা ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখে যারা মস্কোকে ‘কৌশলগত পরাজয়’ ঘটাতে অভিপ্রায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা অস্বীকার করে বলেছে তারা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে এবং ১৪ মাসের বেশি যুদ্ধে অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া অঞ্চল পুনরুদ্ধার করছে।
যাইহোক, পেসকভের অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুতিনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিল তা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে আগের ক্রেমলিনের অভিযোগের চেয়ে আরও এগিয়ে গেছে। হামলার সময় পুতিন ক্রেমলিনে ছিলেন না এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ধারণার ওপর তিরস্কার করেছেন যে ঘটনাটি গুরুতর হত্যা প্রচেষ্টা ছিল।
তবে রাশিয়া বলেছে, তারা প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভসহ কট্টরপন্থীরা বলেছেন, এখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘শারীরিকভাবে নির্মূল’ করা উচিত।
রাশিয়া জেলেনস্কিকে একটি বৈধ লক্ষ্য হিসেবে দেখেছে কিনা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি পেসকভ।