ওলামা লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলাদলি করবেন না। বদনাম কামাবেন না। ওলামা লীগের নামে চাঁদাবাজি করবেন না। প্রোগ্রাম করবেন, পয়সা না থাকলে আমাকে বলবেন। নেত্রীকে আমি বলব। আপনাদের খরচ যেটা প্রয়োজনীয় সেটা নেত্রীই বহন করবেন। কিন্তু আপনারা চাঁদাবাজি করে দুর্নাম কামাবেন না।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওলামা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ড. কে এম আব্দুল মোমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সহযোগী সংগঠন করা হবে নাকি সমমনা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে সেটা ঠিক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আমরা ওলামা লীগকে একটি সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত নীতি আদর্শের প্রতি অনুগত বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সৈনিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের নানা দিকনির্দেশনা দেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওলামা লীগ দীর্ঘদিন রাজপথের আন্দোলনে ছিল। পুলিশের আক্রমণের মুখেও রাজপথ ছাড়েননি এবং নেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ তারা অমান্য করেননি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, তারা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। সময় লেগেছে, তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সম্মেলন হয়েছে। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি যাতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন।তিনি বলেন, কমিটিতে যেন বাস্তবতার ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে। নেতাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলায় আসতে হবে। ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি তৈরি হয়।
বিএনপির সরকার পতনের ঝড় লন্ডন থেকে উঠবে, নাকি ঠাকুরগাঁও থেকে আসবে তার দিনক্ষণ প্রকাশ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের সময় কখন শেষ হবে তা নির্ধারণ করবে এ দেশের জনগণ। বিএনপির আন্দোলনের সময় শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ মনে করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য আমাদের শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। ক্ষমতায় কে থাকবে, এটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকেই চায়, কোন সন্ত্রাসী দলকে নয়। আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী করবে।
আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এতদিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় চলেছে। এখন থেকে শেখ হাসিনার সরকার যে কথা বলবে তার সঙ্গে মিলিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে।