সুধারামে সালিশ বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. দুলাল মেম্বার (৪৭) মারা গেছেন। সোমবার (২৯ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত দুলাল আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ছিলেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজারের পূর্ব পাশে জাকিরের বাড়ির একদল দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও নিহতের জেঠাতো ভাই মো.হানিফ দুলাল মেম্বারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জসিমের বাড়িতে একটি সালিশ করতে যান দুলাল মেম্বার। সেখানে থেকে সালিশ শেষে তিনি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে মোটরসাইকেলটি জসিম চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাংলাবাজারের পূর্ব পাশে জাকিরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরপর ছোড়া দুই রাউন্ড গুলি দুলালের পিঠের বাম পাশে এবং ডান হাতে বিদ্ধ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে দুলালের দুই সহযোগী হাসান ও শহীদ গুরুতর আহত হয়েছেন।
গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৪ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে দুলাল মেম্বারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা নুরুন নেছা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ হচ্ছে না। এই ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল বলেন, যারা এই নৃশংস খুনের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তার দাবি করেন।