বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদার রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় শুনানির সময় এজলাসে হাতাহাতির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ আইনজীবীর নামে এ জিডি করা হয়েছে।
বুধবার কোতোয়ালি থানার অফির্সার ইনচার্জ শাহীনুর রহমান জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় একটি জিডি করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ জিডি করেন তিনি। তদন্ত করে আমরা এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জিডিতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন– বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট সেলিম, মিলন, মিনহাজ রানা, আনোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল হান্নান, আব্দুল খালেক মিলন, জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, তাহমিনা আক্তার হাশমী, শামিমা আক্তার শাম্মি, নারগিস সুলতানা মুক্তি, ওমর ফারুক ফারুকী, মো. নিজাম উদ্দিন নিজাম, মো. ইব্রাহীম স্বপন, মো. মোয়াজ্জেম, মো. নুরুজ্জামান, এইচ এম মাসুম, মো. হিরা , মো. সামছুজ্জামান দিপু, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মাসুম হাসান, মো. নিহার হোসেন ফারুক, মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, জহিরুল ইসলাম মুকুল, নুরুজ্জামান তপন। এছাড়া আরও ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আইনজীবীর কথা বলা হয়েছে জিডিতে।
জিডিতে বলা হয়, মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ কোর্ট ও ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। দুপুরের বিরতির পর মহানগর দায়রা জজ বেলা ৩টায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রমকে ব্যহত করার লক্ষ্যে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তারা আদালতের ভেতর হই চই, হট্টগোলসহ সাক্ষীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
আদালতে উপস্থিত এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট তাপস পাল ও দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়াসহ হট্টগোল করে বিচারিক কার্যক্রম ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আদালতের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত সাময়িক মূলতবী করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।