ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন সন্নিকটে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক। বলেন, ‘আর কিছুদিনের মধ্যে আমাদের আন্দোলন সফল হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ‘সরকারের ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে ফারুক এসব বলেন।
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বা নেতা হিসেবে আমার বক্তব্য হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনের সময় এসে গেছে। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যারা কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিপক্ষে এবং তাদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটা রায় সরকার দিয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের মাকে আজকে সরকার গুলশানের একটি বাসভবনে বন্দি করে রেখেছে। এ অবস্থান কর্মসূচিতে একটি বার্তা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার। বিগত ৯ মাস আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি, আমাদের একটাই দাবি এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। আন্দোলন চলছে চলবে।‘
ফারুক বলেন, ‘এ সরকার ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতা হত্যা করেছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কাজ করে যাচ্ছে। সেদিন আপনারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছেন। আবার আপনারাই বলেন আমার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। তারা স্যাংশনে বোঝে না, তারা মানুষের টাকা, মানুষের সম্পদ কী করে লুট করতে হবে এটা তারা জানে। বাংলাদেশের মানবাধিকার কীভাবে লুণ্ঠিত করা যায়, আওয়ামী লীগ তা বুঝে। বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের কষ্টের কথা তারা বোঝে না। তারা যার মাথায় তেল আছে তার মাথায় আবার তেল দিতে বুঝে। যাদের চা খাওয়ার পয়সা ছিল না তারা আজ ব্যাংকের মালিক হলো কীভাবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন কি শুধু আমাদের জন্য? আপনাদের জন্য নয়? এই সরকার গত সাত দিনে পাঁচ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে। আমার এলাকায় আমি ক্যান্সার রোগীকে থানায় গিয়ে দেখা করার সুযোগ পাইনি। যে আইন চোখ বাঁধা অবস্থায় রায় দেয় সেই আইন আমি মানি না। বাংলাদেশের বিএনপির ১০ হাজারের উপরে নেতাকর্মী মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। আপনারা কতজনকে জেলে ঢুকাবেন ঢুকান। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
‘বুকে যদি সাহস থাকে আওয়ামী লীগ সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে আসুন না একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন দেখেন কে কত সিট পায়, কার অবস্থা কী হয়। নির্বাচন কমিশন যতই তালবাহানা করুক না কেন আপনাদের কৌশল আমাদের নেতা তারেক রহমান জেনে গেছে। বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে। একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্ভরযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকি ইমাম খান প্রমুখ।