• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করতে বিএনপির কমিটি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে ক্রমেই মাঠে সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি পালন করতে প্রায়ই বাধার মুখে পড়তে হয় দলটির নেতাকর্মীদের। দেশজুড়ে কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করা এমন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই কমিটিতে এক ঝাঁক তরুণ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকে রাখা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

কমিটিতে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কামরুজ্জামান দুলাল, যুবদলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সালাহ উদ্দিন খান।

রিজভী দাবি করেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত খুন, গুম ও গায়েবি/মিথ্যা মামলার শিকার নিরীহ নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ভুক্তভোগী জনসাধারণ দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে আসছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে এই প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, সব গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়া ব্যক্তিদের তথ্যাদি সংগ্রহ করবে বিএনপি।

রিজভী আরও বলেন, সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য বিএনপি’র একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহীত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবে।

এসময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, চরম মুদ্রাস্ফীতিতে সাধারণ মানুষ অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশে ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে। দুঃশাসনের অরাজকতায় দেশকে খাদের কিনারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

গোটাদেশ প্রায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত প্রাত্যহিক স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নিদেন পক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর জন্যও বিদ্যুৎ মিলছে না। মিল-কল কারখানার উৎপাদন সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তথাকথিত কুইক রেন্টালের মালিকানা দলীয় লোকদেরকে দিয়ে অবৈধ সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছে।

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ১৫২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার বেশির ভাগই এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের সীমাহীন ব্যর্থতার মূল কারণ-ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আত্মীয়স্বজনের বেপরোয়া লুটতরাজ। তারা স্বদেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আত্মীয়তোষণ করতে গিয়েই বেসরকারি বিদ্যুতের কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেন, ফলে জনগণকে শোষণ করার পথ উন্মুক্ত করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ