সেনেগালের বিরোধী নেতা ওসমানে সোনকোকে কারাদন্ডে আদেশ দেয়ার পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। সোনকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যুবকদের ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ ছিল। দ্বিতীয় অভিযোগে জেল হয়েছে তার। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেই ৯ জন নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিভিশনে বলেছেন, দুইটি শহরে বিক্ষোভে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোনকো ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু য়ুবকদের ভুল পথে চালিত করার অভিযোগে তার দুই বছরের জেল হয়েছে। সোনকো যুবদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। সোনকো অভিযোগ করেছিলেন, তিনি যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সেজন্য ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বিচারপ্রক্রিয়া বয়কট করেছিলেন। কিন্তু রায় বের হওয়ার আগে তাকে জোর করে ডাকার-এ নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের রায়ের পরই সেনেগালের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বাসে আগুন ধরানো হয়। দাঙ্গাবিরোধী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সোনকোর দল পিএএসটিইএফ অভিযোগ করে, এই রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ডাকার-এ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যায়। এখানে একাধিক বাসে আগুন ধরানো হয়। সরকারি মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গতবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোনকো তৃতীয় হয়েছিলেন। সেনেগালের নিয়ম হলো, কোনো রাজনীতিক যদি গুরুতর অপরাধে শাস্তি পান, তাহলে তিনি আর প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না। যুবকদের বিপথচালিত করার থেকে ধর্ষণ অনেক গুরুতর অপরাধ। তবে যুবকদের বিপথচালিত করার জন্য সোনকো আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধর্ষণের মামলায় সোনকোর শাস্তি হয়নি। অভিযোগ ছিল, তিনি একটি ম্যাসাজ পার্লারের নারীকে যৌননিগ্রহ করেছিলেন এবং হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এজন্য তার ১০ বছর জেল চেয়েছিলেন সরকারি আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, এই অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স