• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিলো সীমান্তে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্য প্রাণের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে খালেদা জিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে বন্ধ রাখা হয় ইত্যাদির শুটিং বঙ্গোপসাগরে দুইদিনে ধরাপরলো ১৯৫ মণ ইলিশ‌‌ যারা মাইনাস-টুর কথা বলে এটা তাদের মনগড়া: খসরু গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গে গা‌ড়ির সি‌লিন্ডা‌র বি‌ষ্ফোর‌ণের আগু‌নে চারজ‌নের মৃত‌্যু নাসরিন আক্তার পরিচয় দেওয়ায় নিপুণ আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ তামিম প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাওয়ায় শাস্তি পাচ্ছেন

কুড়িগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ পুলিশি নির্যাতনেই তার মৃত্যুর কারণ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

শনিবার দুপুরের দিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পুলিশি নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানায় নিহত একরামুল এলাকার চিহ্নত মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারী। তাকে নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা।

নিহত ওই হাজতির মোঃ একরামুল হোসেন এরশাদ (৩৫)। তিনি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারী এলাকার শওকত আলী ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে নিহত ওই হাজতিকে মাদক ব্যবসার অভিযোগে আটক করে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। তার কাছে মাদকদ্রব্য না পেলেও ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। এ অবস্থায় শনিবার একরামুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়। হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার আবু সাইম। তিনি জানান, একরামুল হোসেন নামের ওই হাজতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর পর একরামুল হোসেনের বোন শিউলি বেগম অভিযোগ করেন তার ভাইকে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মাদকের অভিযোগে ধরে নিয়ে আসার পর টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশ তাকে নির্যাতন করে কারাগারে পাঠায়। পুলিশের নির্যাতনের ফলে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, একরামুল হোসেন এলাকার একজন চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবন কারী। তার নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় ৮-৯টি মাদকের মামলা রয়েছে। মাদক কেনা-বেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে মাদক না পাওয়া গেলেও ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে তাকে কোন প্রকার নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের বিষয়টি মিথ্যা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ