বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও আমাদের দেশে কমতে সময় লাগবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈশ্বিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও আমাদের দেশে দাম কমছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদেশে পণ্যের দাম কমলেও রাতারাতি প্রভাব দেশে পড়ে না। আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। এছাড়া ডলারের দাম এখনও কমেনি। ডলার দিয়েই আমাদের পণ্য আমদানি করতে হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মন্ত্রী বলেন, বিদেশ দাম পড়েছে। আমাদের দেশে কমতে সময় লাগবে। আগে পেমেন্ট করেছি সেই পণ্য এখনও হাতে পায়নি।’
এদিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৪৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অর্থায়ন ৩ হাজার ৮৬১ কোটি ৭২ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এদিন এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে রেকর্ড গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
বাড়তি মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, আশা করেছিলাম মূল্যস্ফীতি কমবে কিন্তু কমেনি আরও বেড়েছে। এটা দুঃখজনক। বিশাল লোডশেডিং আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। দুই সপ্তাহে পরে লোডশেডিং কমবে তবে মূল্যস্ফীতি কবে কমবে বলতে পারবো না। তবে আমরা মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য নানা কৌশল নিচ্ছি।
নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটা সম্ভব নয় দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ৬ শতাংশে নামাবার কথা বলা হয়েছে যা সম্ভব নয়। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে দ্রুত অ্যাকশন নিতে হবে। মালামাল স্টক করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিউনে দাম কমছে আমরাও পারবো। তবে ৬ এ নামতে পারবো না। তবে চেষ্টা করবো কমানোর। বাজারকে মসৃণ করবো।
ডলার ছাড়াও অন্যান্য মুদ্রায় বাণিজ্য করবো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নানা মুদ্রায় ব্যবসা বাণিজ্য করবো। সরকার অন্যান্য পণ্য আমদানিতে যাবে। পেঁয়াজ আমদানি করছি দাম কমছে দরকার হয় অন্যান্য পণ্য আমদানি করবো।