ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে করা সমাবেশে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীদের দুই দফা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। পরে কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকাল পৌনে চারটায় প্রথম দফা এবং সোয়া চারটায় দ্বিতীয় দফায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে তিনটায় সমাবেশ শুরু হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন। পৌনে চারটার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই সমাবেশের মধ্যস্থলে হঠাৎ করেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল বক্তব্য শুরু করলে বিশৃঙ্খলা শুরু হয় পৌনে চারটার দিকে। এক পর্যায়ে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এ সময় বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে মঞ্চ থেকে নেতারা মাইকে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এরপর আবার বক্তব্য শুরু হলে দ্বিতীয় দফায় সোয়া চারটার দিকে ফের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় সমাবেশের ঠিক মাধ্যখানে। এ সময় আবারও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মাঝেও। তারাও যে যার মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তখন মঞ্চ থেকে বক্তব্য বন্ধ করে স্লোগান দেওয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় মঞ্চ থেকে মাইকে বলতে শোনা যায়, সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের অনুচররা ঢুকে বিশৃঙ্খলা করতে পারে, সেটি যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সমাবেশে আসা অনেকের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেরানীগঞ্জ ২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেরানীগঞ্জ ২ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহীন আহাম্মেদের লোকজনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তবে সমাবেশের কারণে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। মঞ্চের একেবারে কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকায় নেতাকর্মীদের ধমক দেন তারা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
এর আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।