জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোতে নজর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই লক্ষ্যে দেশজুড়ে থাকা দলীয় কার্যালয়গুলোতে স্থাপন করা হচ্ছে স্মার্ট কর্নার। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হলরুমে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ আ্যন্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সহায়তায় প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী পরিষদের সাবেক সচিব ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ার।
কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রযুক্তিবীদ সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর ও প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ।
এ ছাড়া প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশলী তানভীর হাসান তালাশ, ইমরুল কায়েস ইমন, শুভ সাহা, আ ন ম রাশেদ এবং অপু প্লাসিড।
কবীর বিন আনোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রের ভার্চুয়াল যোগাযোগের মাধ্যম হবে এই স্মার্ট কর্নার। আগামী নির্বাচনে স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমেই সারাদেশে প্রচারণা টিম ম্যানেজমেন্ট করা হবে। প্রতিটি ভোটারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছাতে স্মার্ট কর্নার হবে একটি কার্যকরী মাধ্যম।
আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, স্মার্ট কর্নারের কার্যক্রম হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও নিউজ পোর্টাল-পত্রিকার তালিকা করা হবে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও দলের ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভার্চুয়াল যোগাযোগ তৈরি ও অনলাইন প্রচারণায় স্থানীয়দের সমন্বয় করা হবে।
প্রশিক্ষণে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন। এ অনুযায়ী স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সবক্ষেত্রে রোবোটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প কারখানা, স্মার্ট ব্যবসা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
এজন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মকাণ্ডকে ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলন আখ্যা দিয়ে আওয়ামী এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য সরকার ও দলকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা হবে।
এর অংশ হিসেবে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের কথা উল্লেখ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দলের ভূমিকা রাখার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, সফলতা তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া দেশবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও গুজবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে। সাংগঠনিক জেলার স্মার্ট কর্নার তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখবে।
দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের স্মার্ট কর্নার, ১৫ জেলার ১০০ কর্মী পাবে প্রশিক্ষণ
‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর আওতায় দেশজুড়ে সাংগঠনিক জেলায় স্মার্ট কর্নার করছে আওয়ামী লীগ। এজন্য প্রাথমিকভাবে ১৫ জেলার ১০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দলটি।
স্মার্ট কর্নার ব্যবস্থাপনার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি শাখার নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ জন্য প্রত্যেক কমিটির একজন ফোকাল পয়েন্ট, ৪ জন স্মার্ট ক্যাম্পেইনার (২ জন নারী, ২ জন পুরুষ) কাজ করবেন। এরপর একইভাবে প্রত্যেক উপজেলায় ১০ জন করে (৫ জন নারী, ৫ জন পুরুষ) ক্যাম্পেইনার কাজ করবেন।