বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ। এ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসংগত নয়। তার স্বাস্থ্যের চেয়ে তাকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে এমন কোনও চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি যে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তার মুক্তির বিষয়টি আইনমন্ত্রী বলতে পারবেন।’
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের (বিআরএসপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার জেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল আওয়ামী লীগ করেনি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে তারা (বিএনপি) একটি ভালো আন্দোলনও করতে পারেনি। এই ব্যর্থতায় বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের নামে যা হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। ট্রাম্প আজ পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি। গণতন্ত্রের ত্রুটি আছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমাদের গণতন্ত্রও ত্রুটিমুক্ত নয়।
দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়াকে দেশের আদালত জেলে পাঠিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সরকার তো তাকে জেলে পাঠায়নি। এই মামলা আমরাও দিইনি। মামলা দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই মামলা রায়ে তিনি জেলে গেছেন। তাতে বিদেশি রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন আমরা দেখেছি। এগুলো দেশের মানুষের মনে আছে। আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান নির্বাচন কমিশের প্রতি কোনও হস্তক্ষেপ করে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন।
আওয়ামী লীগ জনগণের দল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ চাইলে আছে, না চাইলে নেই। বিদেশি প্রভুদের দ্বারস্থ হয়ে ক্ষমতার কথা আমরা ভাবি না, এটা বিএনপি করে। ক্ষমতা বসাতে পারে দেশের জনগণ বিদেশিরা নয়। আমাদের কোনও চাপ নেই।
আওয়ামী লীগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রেসক্রিপশনে চলে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। প্রত্যেককেই নিজের চেহারা আয়নায় দেখার পরামর্শ। আওয়ামী লীগ কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না, করবে না।
গাজীপুর, বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের নির্বাচন হলে কি কারও সন্তুষ্ট হওয়ার কথা। জনপ্রিয়তা প্রমাণে নির্বাচনে আসতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জামায়াত তো নিবন্ধিত দল নয়, তারা নির্বাচনে কীভাবে করবে?
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল (পরিবহন) প্র্যাকটিস ম্যানেজার ফেই ডেং, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অপরাধ ও অপারেশন) আতিকুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।