ঈদুল আজহার কোরবানির গরু ভর্তি অসংখ্য ট্রাক প্রবেশ করছে ঢাকায়। অন্যদিকে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবারের টানে গ্রামে ছুটছে মানুষ। একারণে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়ির চাপ বেড়েছে সাভারের বিভিন্ন মহাসড়কে।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা, বাইপাইল-আবদুল্লাহ্পুর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে চাপ বাড়লেও যানবাহন চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবেই। সকাল থেকেই যানবাহনের চাপের সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে যাত্রীদের চাপ। তবে আজ পোশাক কারখানার আংশিক ছুটি হলে বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ কয়েকগুণ বাড়বে বলে দাবি পরিবহন শ্রমিকদের।
ঢাকামুখী কোরবানির গরুবাহী ট্রাক চালক তরিকুল বলেন, বর্তমানে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কারণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন মহাসড়কে অতিরিক্ত সংখ্যক ট্রাক গরু নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। আমি পাবনা থেকে রওনা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে এখন পর্যন্ত মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী শ্যামলী পরিবহনের চালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঈদ যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। এখনও আংশিক সড়কের কাজ চলছে। সড়কের কাজ শেষ হলে আগামীতে কোনো ধরনের যানজট থাকবে না বলে মনে করি। তবে এবার যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে সড়ক পথ।
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন পোশাক শ্রমিক হাসমত। তিনি ঢাকা বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে সত্যি কিন্তু যাত্রীবাহী বাস তুলনামূলক কম। আমি সকাল ৮টা থেকে বসে আছি গাড়ির জন্য কিন্তু পাচ্ছি না। কোনো পরিবহন পেলেও যাত্রী থাকে পরিপূর্ণ। আশা করছি দ্রুত গাড়ি পেয়ে রওনা করতে পারব। বিকেলে গাড়ির চাপও বাড়বে যাত্রীর চাপও বাড়বে। এসময় যানজটের আশঙ্কাও রয়েছে তাই কষ্ট হলেও সকালে বের হয়েছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে।
ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের অ্যাডমিন চৌধুরী শহিদ বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ একটু বেড়েছে। আমাদের ট্রাফিক বিভাগ, ঢাকা জেলা পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিট যার যার জায়গা থেকে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা যাত্রীদের ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।