রাজশাহীর নওগাঁর বদলগাছীতে বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে এক প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও সহকারী শিক্ষিকার মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে তাদের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকের পক্ষে শেখর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুণ্ড ও বেগুনজোয়ার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম।
বদলগাছী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াসিউর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করবে কমিটি। পাশাপাশি কথা বলা হবে সব পক্ষের সঙ্গেই। আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ.স.ম শফি মাহমুদ বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর থেকে স্কুলের সভাপতির দায়িত্বে আছি। এর আগে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। পরে শুনি তারা আপস করেছে। বর্তমানে প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার যে ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে দাবি করছেন।’
সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওগুলোর প্রথম ক্লিপটি ১ মিনিট ১২ সেকেন্ড, দ্বিতীয়টি ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড, তৃতীয়টি ৪ মিনিট ১১ সেকেন্ড এবং চতুর্থটি ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড। মোট চারটি আলাদা ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, অভিযুক্ত ওই প্রধানশিক্ষক তার অফিস কক্ষে দফায় দফায় ওই নারী শিক্ষিকাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। ভিডিওতে তাদের পোশাকও অস্বাভাবিক দেখা গেছে। অফিস কক্ষের দিকে কেউ আসছে কি না দেখতে প্রধানশিক্ষক মাঝে মাঝে জানালার কাছে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে আসছেন। আবার মাঝে মাঝে ওই শিক্ষিকাকে মারধর করতেও দেখা গেছে।